ওয়েবডেস্ক- মহাকরণের (Writers’ Building) সামনের সেনার ট্রাক (Army Truck) আটকাল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ট্রাকটিকে থামায় ট্রাফিক কন্ট্রোলার। খবর যায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় (Hare Street) ।
গতকাল মেয়ো রোডের (Meyo Road) উপর তৈরি তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দেওয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের জন্য এই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। এর পরেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মঞ্চ খোলার আগে আমাকের একবার জানাতে পারত। আমি সব সময় অ্যাভেলেবল থাকি। এই ভাবে মঞ্চ খোলার অর্থ কি? আমি সেনাকে সম্মান করি, গর্ব করি সেনাকে নিয়ে। সেনার বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু সেনাকে যদি বিজেপির কথায় চলতে হয়, তাহলে দেশের কী অবস্থা হবে?
এই ঘটনার পরেই আজ মহাকরণের সামনে সেনার ট্রাক আটকে দেওয়া হয়। চরমে সেনা পুলিশ সংঘাত। ট্রাফিক কন্ট্রোলের থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাফিক আইন মানা হয়নি, তাই জন্য পথ আটকানো হয়েছে। সিগন্যালও মানা হয়নি। ওই ট্রাকের পিছনেই আবার আসছিল কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা কনভয় (Kolkata Police Commissioner Manoj Verma convoy) । লালবাজারের (LalBazar) দিকে যাচ্ছিলেন সিপি। ঘটনাস্থলে যান পুলিশ আধিকারিকেরা। পৌঁছোন সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের দফতর ফোর্ট উইলিয়াম (বিজয় দুর্গ)-এর কর্তারাও।
আরও পড়ুন- রাইটার্সের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়ি আটকাল কলকাতা পুলিশ
তবে ওই ট্রাকে থাকা সেনাবাহিনীর এক কর্মীর অভিযোগ, বেপরোয়া গতিতে ট্রাকটি চালানো হচ্ছিল না। সিগন্যাল খোলা থাকায় ট্রাকটি ডানদিকে বাঁক নেয়। একই সঙ্গে ওই সেনাকর্মী এ-ও জানিয়েছেন যে, পিছনে কলকাতার সিপি-র গাড়ি ছিল, তা জানতেন না তাঁরা।
সেনা সূত্রে খবর, আপাতত এই সমস্যা মেটাতে ফোর্ট উইলিয়ামের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ঘটনাস্থলে থাকা জওয়ানরা। ফোর্ট উইলিয়াম থেকে ইস্টার্ন কমান্ডারের এক আধিকারিককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিবাদী বাগের সামনেই কলকাতা পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় সেনা আধিকারিকদের।
দেখুন আরও খবর-
